Saturday, October 12, 2013

Posts in category - ঋণ (LOANS) SYSTEM - ( FOR ISLAM )

ঋণ- (LOANS) -

 Information

1. সুলায়মান ইব্‌ন হার্‌ব (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যাক্তি নবী (সাঃ) -এর কাছে পাওনার জন্য তাগাদা দিতে এসে রূঢ় ভাষায় কথা বলতে লাগল। এতে সাহাবীগন তাকে শায়েস্তা করতে উদ্যত হলেন। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। কেননা, পাওনাদারদের কড়া কথা বলার অধিকার রয়েছে। তারপর তিনি বললেন, তার উটের সমবয়সী একটি উট তাকে দিয়ে দাও। তারা বললেন, ইয়া রাসূল (সাঃ) এটা নেই। এর চাইতে উত্তম উট রয়েছে। তিনি বললেন, তাই দিয়ে দাও। তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোৎকৃষ্ট, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় উত্তম।

সহীহ বুখার অধ্যায়ঃ ওয়াকালাত হাদিস নাম্বারঃ ২১৫৮

2.আবূ নু’আঈম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ) -এর নিকট কোন এক ব্যাক্তির একটি বিশেষ বয়সের উট পাওনা ছিলো। সে পাওনার জন্য আসলে তিনি সাহাবীদেরকে বললেন, তার পাওনা দিয়ে দাও। তারা সে উটের সমবয়সী উট অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন। কিন্তু পেলেন না। কিন্তু তার থেকে বেশী বয়সের উট পেলেন। তখন নবী (সাঃ) বললেন, তাই দিয়ে দাও। তখন লোকটি বলল, আপনি আমার প্রাপ্য পুরোপুরি আদায় করেছেন, আল্লাহ আপনাকেও পুরোপুরি প্রতিদান দিন। নবী (সাঃ) বললেন, যে ঠিক মত ঋণ পরিশোধ করে সেই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যাক্তি।
সহীহ বুখার অধ্যায়ঃ ওয়াকালাত হাদিস নাম্বারঃ ২১৫৭

3. ইয়াহ্‌ইয়া ইব্‌ন বুকাইর (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সাঃ) -এর নিকট যখন কোন ঋণী ব্যাক্তির জানাযা উপস্থিত করা হত তখন তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, সে তার ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত মাল রেখে গেছে কি? যদি তাঁকে বলা হত যে, সে তার ঋণ পরিশোধের মত মাল রেখে গেছে তখন তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করতেন। নতুবা বলতেন, তোমাদের সাথীর জানাযা আদায় করে নাও। পরবর্তীতে যখন আল্লাহ তাঁর বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন, তখন তিনি বললেন, আমি মু’মিনদের জন্য তাদের নিজের চাইতেও অধিক নিকটবর্তী। তাই কোন মু’মিন ঋণ রেখে মারা গেলে সে ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যাক্তি সম্পদ রেখে যায়, সে সম্পদ তার ওয়ারিসদের জন্য।
সহীহ বুখার অধ্যায়ঃ যামিন হওয়া হাদিস নাম্বারঃ ২১৫১

4.আলী ইব্‌ন আবদুল্লাহ (রহঃ) জাবির ইব্‌ন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছিলেন, যদি বাহরাইনের মাল এসে যায় তাহলে আমি তোমাকে এতো এতো দেব। কিন্তু নবী (সাঃ) -এর ওফাত পর্যন্ত বাহরাইনের মাল এসে পৌঁছায়নি। পরে যখন বাহরাইনের মাল পৌঁছল, আবূ বকর (রাঃ)-এর আদেশে ঘোষণা করা হল, নবী (সাঃ) -এর নিকট যার অনুকূলে কোন প্রতিশ্রুতি বা ঋণ রয়েছে সে যেন আমার নিকট আসে। আমি তার নিকট গিয়ে বললাম, নবী (সাঃ) আমাকে এতো এতো দিবেন বলেছিলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) আমাকে এক অঞ্জলী ভরে দিলেন, আমি তা গননা করলাম এতে পাঁচ শ’ ছিল। তারপর তিনি বললেন, এর দ্বিগুণ নিয়ে নাও।
সহীহ বুখার অধ্যায়ঃ যামিন হওয়া হাদিস নাম্বারঃ ২১৪৯

5.আবূ আসিম (রহঃ) সালামা ইব্‌ন আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন নবী (সাঃ) -এর কাছে সালাত (নামায) জানাযা আদায়ের জন্য একটি জানাযা উপস্থিত করা হল। তখন নবী (সাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? সাহাবীগণ বললেন, না। তখন তিনি তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করলেন। তারপর আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? সাহাবীগন বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমাদের সাথীর সালাত (নামায) জানাযা তোমরাই আদায় করে নাও। আবূ কাতাদা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূল (সাঃ) , তার ঋণের দায়-দায়িত্ব আমার উপর। তখন তিনি তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করলেন। 

সহীহ বুখার অধ্যায়ঃ যামিন হওয়া হাদিস নাম্বারঃ ২১৪৮


6.মক্কী ইব্‌ন ইবরাহীম (রহঃ) সালামা ইব্‌ন আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী (সাঃ) -এর নিকট বসা ছিলাম, এমন সময় একটি জানাযা উপস্থিত করা হল। সাহাবীগণ বললেন, আপনি তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করে দিন। নবী (সাঃ) বললেন, তার কি কোন ঋণ আছে? তারা বলল, না। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বলল, না। তখন তিনি তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করলেন। তারপর আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হল। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূল (সাঃ) আপনি জানাযার সালাত (নামায) আদায় করে দিন। তিনি বললেন, তার কি কোন ঋণ আছে? বলা হল হ্যাঁ, আছে। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বললেন, তিনটি দীনার। তখন তিনি তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করলেন। তারপর তৃতীয় আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হল। সাহাবীগণ বললেন, আপনি তার জানাযা আদায় করুন। তিনি বললেন, সে কি কিছু রেখে গেছে? তারা বললেন, না। তিনি বললেন, তার কি কোন ঋণ আছে? তারা বললেন, তিন দীনার। তিনি বললেন, তোমাদের এ লোকটির সালাত (নামায) তোমরাই আদায় করে নাও। আবূ কাতাদা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূল (সাঃ) তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করুন, তার ঋণের জন্য আমি দায়ী। তখন তিনি তার জানাযার সালাত (নামায) আদায় করলেন।
সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ হাওয়ালা হাদিস নাম্বারঃ ২১৪৪

7.মুহাম্মদ ইব্‌ন ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাঃ) বলেন, ধনী ব্যাক্তির পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা জুলুম। যাকে (তার পাওনার জন্য) ধনীর হাওয়ালা করা হয়, সে যেন তা মেনে নেয়।
সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ হাওয়ালা হাদিস নাম্বারঃ ২১৪৩

8.আবদুল্লাহ ইব্‌ন ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ধনী ব্যাক্তির ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা জুলুম। যখন তোমাদের কাউকে (তার জন্য) কোন ধনী ব্যাক্তির হাওয়ালা করা হয়, তখন সে যেন তা মেনে নেয়।
সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ হাওয়ালা হাদিস নাম্বারঃ ২১৪২

No comments:

Post a Comment