Thursday, May 1, 2014

পৃথিবী সবচেয়ে আশ্চার্য্যজনক স্থান বারমুডা ট্রায়াঙ্কলের রহস্য এবং রহস্যময় কিছু ছবি .............

বারমুড়া সম্পর্কে এর আগে
,আমি চেষ্টা করেছি রহস্য উদঘাটন করা সহ বেশ কিছু ছবি সংযোজন করার

যা ইতিপূ্র্বে ব্লগার ভাইরা করেননি

যা হোক কথা না বাড়িয়ে জানা যাক বারমুডার আসল রহস্য:


কী এই বারমুডা তিনকোনা (মানে ট্রায়াঙ্গঁল):

এই জায়গার নাম শুনে নাই এমন লোক মানে হয় কমই আছে।আশা করি আমি আপনাদের সকল কনফিউশন দূর করতে পারবো, (at least try করবো )বারমুডা ট্রায়াঙ্গেঁল মূলত একটি কাল্পনিক এিভূজ। এর সীমানার ভেতর কোন জাহাজ, বিমান যদি ভূলেও ঢুকে পড়ে তাইলেই হইছে!!! রেডিও সিগনাল নষ্ট হবে, কম্পাস লাটিমের মত ঘুরতে থাকবে।এমনকি রাডারও আপনাকে খুঁজে পাবে না।যারা বারমুডা সম্পর্কে বিন্দুমাএ জানেন তারা জানে যা, আমি একটুও মজা করছি না।শত শত উদাহরণ আছে । তার চেয়ে বড় রহস্য হল এখানে যারা গায়েব হয় তাদের বেশিরভাগই মেধা ও মননশীলতার দিক দিয়ে সমসাময়িকদের মাঝে অন্যতম।
সীমানা:

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের সীমানা বেশ সোজা সাপটা, কিন্তু জিনিসটা অতটা ভদ্রনয় রীতিমতো ভয়াবহ। দ্বীপটার নাম বারমুডা প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৫৬৫ সালে।আবিষ্কার করেন স্প্যানির্য়াড নাবিক জুয়ান ডি বারমুডেজ।তার নামানুসারেই নামকরণ করা হয় এই দ্বীপের।দক্ষিণে পুয়েরটো রিকো,সেখান থেকেপশ্চিমে ফ্লোরিডা হয়ে Gulf of Mexico এর বিন্দু,এখান থেকে আবার বারমুডা পর্যন্ত রেখা টানলে যে এিভূজ অংকিত হয় তাকেই বলা হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেঁল।


কীভাবে গ্রাস করে বারমুডা:

মনে করুন আপনি একটি বানিজ্য নৌবহরের ক্যাপ্টেন। অতি সাহসী আপনি। বানিজ্য শেষে দেশে ফেরার পথে বারমুডা সম্পর্কে সকল আতংক উপেক্ষা করে শর্ট-কাটের(Short-cut) ধান্দায় ঢুকে পড়লেন বারমুডার সীমানায়। এগিয়ে চলেছেন, বিপদের চিহ্ন-মাত্র নেই।



আপনার অধীনে থাকা পাঁচটি জাহাজের নাবিকদের উপর মেজাজ খারাপ হচ্ছে।ধূর ব্যাটা!বেকুব কোথাকার! শুধু শুধু ভয় পায়। এমন সময়……………….জাহাজের চারপাশে কালো হয়ে যেতে লাগল। সাগরের পানি।আপনার জাহাজ ফিরে সৃষ্টি হয় পানির ঘূর্ণিপাক।ভর দুপুরে সাগরে নেমে এল রাতের আঁধার আর তারপরই………

আপনার জাহাজগুলোকে ঘিরে দিনের বেলা নেমে এলো রাতের বিভীষিকাময় আধার।শুরু হল ঝড়।দুশো ফুট একেকটা ঢেউ ধেয়ে আসছে আপনার জাহাজের দিকে। হঠ্যাৎ ভেঙে পড়ল আপনি যে জাহাজটায় দাড়িয়ে আছেন তার মাস্তুল। সাথে সাথে থেমে গেল ঝড়। সম্পূর্ণ শান্ত হয়ে গেল সমুদ্র। স্থিতি হয়ে বাকি চারটা জাহাজের কথা মনে পড়ল আপনার।কিছুক্ষণ পর একটি জাহাজের সন্ধান পেলেন, বাকি তিনটি? ঠিক এ ঘটনাই ঘটেছিল ক্যাপ্টেন বোনিলার সাথে ১৭৫০ সালে। বাকি তিনটি জাহাজ আর কোন দিন ফিরে আসেনি।ডুবে গেলেও ছেড়া পাল, কাঠের টুকরা, মৃতদেহ ইত্যাদি ভেসে থাকার কথা কিন্তু সেসব ছিল না কিছুই। পরবর্তীতে আশেপাশে হাজার হাজার মাইল খোজা হলো খোঁজ মেলে নি হতভাগ্য তিন জাহাজের।



আপনার জাহাজগুলোকে ঘিরে দিনের বেলা নেমে এলো রাতের বিভীষিকাময় আধার।শুরু হল ঝড়।দুশো ফুট একেকটা ঢেউ ধেয়ে আসছে আপনার জাহাজের দিকে। হঠ্যাৎ ভেঙে পড়ল আপনি যে জাহাজটায় দাড়িয়ে আছেন তার মাস্তুল। সাথে সাথে থেমে গেল ঝড়। সম্পূর্ণ শান্ত হয়ে গেল সমুদ্র। স্থিতি হয়ে বাকি চারটা জাহাজের কথা মনে পড়ল আপনার।কিছুক্ষণ পর একটি জাহাজের সন্ধান পেলেন, বাকি তিনটি? ঠিক এ ঘটনাই ঘটেছিল ক্যাপ্টেন বোনিলার সাথে ১৭৫০ সালে। বাকি তিনটি জাহাজ আর কোন দিন ফিরে আসেনি।ডুবে গেলেও ছেড়া পাল, কাঠের টুকরা, মৃতদেহ ইত্যাদি ভেসে থাকার কথা কিন্তু সেসব ছিল না কিছুই। পরবর্তীতে আশেপাশে হাজার হাজার মাইল খোজা হলো খোঁজ মেলে নি হতভাগ্য তিন জাহাজের।
বারমুডায় হারিয়ে যাওয়া জাহাজ সমুহঃ

¤ ১৮১১ সালের U.S. Navy এর দুর্ধষ জাহাজ “ওয়াসপ” নাম শুনলেই কলিজার পানি শুকিয়ে যেত আমেরিকার তখনকার শএু ব্রিটিশদের।নেভির সেরা সব নাবিক দ্বারা ঠাসা ছিল সেটি।১৮১২-১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে “বারমুডা ট্রায়াঙ্গেঁল” এলাকায় টহলের সময় হঠ্যাৎ গায়েব হয়ে যায়।কোনদিনই আর পাওয়া যায়নি তাকে।

¤ ১৯০৯ সালে “Josua Slowcame” এর অধীনে থাকা “Spray” জাহাজটিও গায়েব হয়।দক্ষিণ আমেরিকা যাওয়ার পথে বারমুডা গ্রাস করে এটিকে। আগের মতোই কয়েকশ মাইল ঘাটলেও…….খোঁজ নাই ওরে খোঁজ নাই।

¤ এরকমভাবে আজব অন্তর্ধানের শিকার হয়েছে আরও অনেক জাহাজ।তাদের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি ১৮২৪ সালে ইউ.এস. ওয়াইল্ড ক্যান্ট।এটি গায়েব হয় কিউবা থেকে থম্পস যাওয়ার পথে।১৯৬৫ সালে “স্নোবয়” কিংস্টন থেকে মর্থ ইষ্ট বন্দরে যাবার পথে।



বারমুডায় হারিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর কথা তো আমরা জানলাম, এবার আসা যাক বিমান গুলোর ব্যাপারে।২৮ ডিসেম্বর ১৯৪৯সাল।স্যান জুয়ান থেকে মায়ামির উদ্দেশ্যে যাএা করল একটি DC-3 বিমান। ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগে মায়ামি টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ করল পাইলট। সব ঠিকঠাক।কিন্তু হঠাৎ করেই মায়ামি টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল N 1b002 DC-3বিমানটি।

জরুরি বিপদ সংকেত ঘোষণা করল মায়ামি টাওয়ার। মায়ামির আশেপাশের কয়েকশো বর্গ মাইল এলাকায় সমস্ত জলযান ও নৌযান সর্তক হয়ে গেল। কয়েকটা সার্চ প্লেনও কাজে লেগে গেল। আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেল সেদিন তো দূরে থাক গত কয়েক সপ্তাহেও কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি ঐ এলাকায়। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ারও কোন চিহ্ন পাওয়া গেল না আশেপাশে কয়েকশো বর্গ মাইলের স্থলে বা জলে।পাওয়া যায় নি কোনদিনও।জানিয়ে রাখি DC-3 কে শেষ দেখা যায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এলাকায়।

জ্যাক্সনভিল শহরে সিসিলফিল্ড বিমান ক্ষেএ থেকে ট্রেনিং দেয়া হয় অত্যন্ত অভিজ্ঞ সব পাইলটদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য।১৯৪৫ সালে একই ভাবে রুটিন মাফিক আকাশে উড়েছিল SB2C Hell Driver নামের ১২টি বিমান। বারমুডা আশপাশ থেকে ঘুরে আসার কথা ওদের।ফিরে এলো ঠিকই কিন্তু ১০টি। DC-3 এর মতোই তন্ন তন্ন হয়ে খোজা হল তাদের।কিন্তু ভাই এটা তো বারমুডা।



একই বছর Florida Fort Lowerdel Air Station থেকে “Flight 19” মহড়ায় অংশ গ্রহণ

করে তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ প্রযুক্তির ৫টা অ্যাভেন্ঞ্জার বিমান।হঠাৎ ইমারজেন্সি সংকেত পাঠানো হল “Flight 19” এর লিডারের কাছ থেকে কন্ট্রোল টাওয়ারে।বলা হল “পথের দিশা হারিয়ে ফেলেছি আমরা” এয়ারবেস থেকে মাএ ৭০-৮০ মাইল দূরে এত অভিজ্ঞ পাইলটদের পথ হারিয়ে ফেলার মানেটা কি? হঠাৎ লক্ষ্য করল টাওয়ার অপারেটর রাডার ডাটা থেকে বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে ৫টা বিমান।বিপদ সংকেত ঘোষণা করা হল।“Flight 19” থেকে সর্বশেষ বার্তা শোনা গেল “We are completely lost”.খোঁজ নেমে পড়ল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির “মার্টিন মেরিনার”-পাইলট লেফটেন্যান্ট হ্যারি।ভোজবাজির মতো অবিশ্বাস্য ভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল সেটিও মাএ ৫০ মিনিটের মাথায়।পরদিন সর্বমোট ৪০ টি সার্চ প্লেন,২৫০ কোস্ট গার্ড ও আশেপাশের সকল নৌযান ও জলযান নেমে পড়ল ৫টা অ্যাভেন্ঞ্জার ও মার্টিন মেরিনার খোজে।পাওয়া যায় নি আজও তাদের।এরকম আরও কাহিনী রয়েছে। বারমুডার উপর থেকে উড়ে যাবার সময় বনবন করে ঘুরতে থাকা কম্পাসের কাটা,মাঝে মাঝে রহস্যজনক কুয়াশার সৃষ্টি,আবার হঠাৎ করেই মিলিয়ে যাওয়া………..ওসব সবই কাছাকাছি গল্প।আসুন এবার দেখা যাক,
কি আছে এই বারমুডা রহস্যের মূলে:

বারমুডায় একের পর এক জাহাজ, বিমানগুলোর হারিয়ে যাওয়ার সম্পর্কে প্রথম খোঁজ শুরু করেন “মি.কুসচে”,তার বক্তব্যে পরে আসি। আগে দেখা যাক বারমুডার এসব আজব অন্তর্ধানের রহস্যের কারন কি হতে পারে।

> অতি শক্তিশালী ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড

>সক্রিয় ব্ল্যাক হোল

>আইনস্টাইনের সুএানুযায়ী টাইম ট্রাপ

>প্যারালাল ইউনিভার্স

>4th ডাইমেনশনাল স্পেস

>আমাদের ভবিষ্যতের মানুষেরা

>ভিনগ্রহের অতি বুদ্ধিমান কোন প্রাণী

>বর্তমান সময়ের বর্তমান বিশ্বেরই কোন দেশ

আমরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে ঘটে যাওয়

আজব রহস্য গুলোর ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, “ভিনগ্রহের অতি বুদ্ধিমান কোন প্রাণী।”

পৃথিবীতে আদিম কাল থেকেই একটা প্রতিহিংসা মূলক নিয়ম চালু আছে। সেটা হল বিশেষ গবেষণার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা। যেটা করতেন আমাদের “নেপোলিয়ন বেনাপোর্ট” কাকু। এই লোক বিভিন্ন দেশ থেকে কবি, সাহিত্যিক, গবেষকদের হত্যা না করে নিয়ে আসতেন নিজের দেশে। তাদের সাহায্যে নিজের রাজ্য সুসংহত করতেন।এই একই কাজ করত রোমান, গ্রীক, চৈনিক মিং, মিসরীয় ইত্যাদি সভ্যতার শাসকেরা।

ভিনগ্রহের অতি বুদ্ধিমান প্রাণী অর্থাৎ এলিয়েনরাও তাই করছে? উওর সম্ভব হ্যাঁ। U.F.O. বা Unidentified Flying Object সর্ব প্রথম নজরে আসে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর। এদের উপস্থিতির প্রমাণ Google, YouTube খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। তথ্য প্রমাণাদি থেকে দেখা যায় ১৯৪৩ সালের থেকে পৃথিবীতে U.F.O. এর আগমন বেড়ে যায়। তার চেয়েও বিস্ময়কর তথ্য হল সর্বসাকুল্যে এদের ৭০% ই দেখা গেছে বারমুডার ভিতর



এবং জাহাজ বা বিমান অন্তর্ধানের সময়ের সাথে এদের উপস্থিতির সময়েরও বিস্ময়কর মিল রয়েছে এ ব্যাপারে আমেরিকার National Investigation Committee on Arial Phenomenal Society ও লিম্বো অফ দ্যা লস্ট বইয়ের লেখক “John Spensar” বলেছেন,“বারমুডায় হারিয়ে যাওয়া জাহাজ বা বিমানগুলোর কারণ U.F.O. পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যে সব U.F.O. দেখা গিয়েছে সে ভিতর বিমান, জাহাজ তুলে নিয়ে বেমালুম লুকিয়ে ফেলা যাবে”। এর কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, “হয়ত অন্য গ্রহের প্রাণীরা বসে বসে নমুনা সংগ্রহ করছে পৃথিবীর প্রযুক্তির” অবশ্য কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ এ ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন যে, পৃথিবীর মানুষের পারমানবিক ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা এবং এর নমুনা সংগ্রহ করতে।



ধরা গেল আমাদের Alien দের প্রধান উদ্দেশ্য পৃথিবী থেকে জাহাজ বা বিমান অপহরণ

করা এবং সেটা নিয়ে গবেষণা করা। কিন্তু “যত দোষ নন্দ ঘোষ” এর মত বারমুডার উপরেই তাদের নজর কেন? কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন শুধু বারমুডাই নয় এরকম আরও কয়েকটি জায়গা আছে পৃথিবীতে যেখানে রহস্যজনক

ভাবে ঘটে যায় ব্যাখাতীত সব ঘটনা। এরকম জায়গাগুলো হল:

¤ জাপানের অদূরে ডেভিলস সী

¤ পশ্চিম ভূমধ্যসাগরে

¤ হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উওর পুবে উওর প্রশান্ত মহাসাগর

¤ আর্জেন্টিনার উপকূলের দক্ষিণ আটলান্টিকের দক্ষিণ পুবে

¤ দক্ষিণ আফ্রিকার উপকুলের দক্ষিণ পূর্বে

¤ ভারত মহাসাগরের পূর্বে ২টি অঞ্চলে

¤ অস্ট্রেলিয়ার অদূরে টাসমানি সমুদ্র

¤ আফগানিস্তানের পশ্চিম দিকে একটি অঞ্চল

মজার ব্যাপার হচ্ছে এগুলোর প্রত্যেকটিতেই প্রায়ই এলিয়েন বাবাদের

আসা যাওয়া দেখা যায়। তবে বড়গুলো দেখা যায় বারমুডা তেই। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম এলিয়েন বাবাদের “Command Centre” বা “Main Base” হল

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে এবং বাকীগুলো হল “Sub-Base” বা “Sub-Station”.

এবার Alien দের সম্পর্কে একটু Positive দিকে যাই।পৃথিবীতে কিন্তু কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই U.F.O. দের আনা গোনা।তার বহু জলজ্যান্ত প্রমাণ আছে।

এমন যদি হয় আপনি একটা দেশের President। আপনার পাঠানো কোন এক ব্যাটালিয়ন সেনা আটকে রেখেছে অন্য কোন দেশ। কি করবেন? নিশ্চয়ই দলবল নিয়ে খোজে নেমে পড়বেন।তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করবেন।তাই না? এলিয়েনরাও কি তাই করছে? ভ্রু কুচকে আছেন তো? এসব প্রশ্নের উওর দিচ্ছি

আপনাদের এমন একটা অবস্থা ধারনা করতে বলেছিলাম যেখানে আপনি একটি দেশের প্রেসিডেন্ট। আপনার দেশের একটি ব্যাটালিয়ন আটকে গেছে অন্য কোন দেশে। আপনি নিশ্চয়ই তখন দলবল নিয়ে খোঁজে নামবেন। আমাদের এলিয়েনরাও কি তাই করছে? চিন্তা করে দেখুন হতে পারে।কারণ সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, তার ক্ষমতা অনেক।পৃথিবী বহুবার এলিয়েনরা এসেছে।সে সম্পর্কে গত

পর্বেও আলোচনা করা হয়েছে।আগামীতেও আশা করি হবে।এরকম গণহারে পিকনিকে আসা এলিয়েন মামাদের

একজনকেও কি মানুষের পক্ষে আটকে রাখা সম্ভব না?অবশ্যই সম্ভব।আমাদের পৃথিবীর কেউ বা কোন দেশ আটকে রেখেছে তাদের কাউকে। হয়তোবা সেই আটকানোর স্থানটি বারমুডা।কিন্তু প্রশ্ন জাগে তাহলে জাহাজ, বিমান কেন গায়েব হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল থেকে।একটাই উওর আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য।

বারমুডা সম্পর্কে রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে আরও যে একটি কারণ ধারণা করা হয় তা হল:
“অতি শক্তিশালী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড”



আপনাদের এমন একটা অবস্থা ধারনা করতে বলেছিলাম যেখানে আপনি একটি দেশের প্রেসিডেন্ট। আপনার দেশের একটি ব্যাটালিয়ন আটকে গেছে অন্য কোন দেশে। আপনি নিশ্চয়ই তখন দলবল নিয়ে খোঁজে নামবেন। আমাদের এলিয়েনরাও কি তাই করছে? চিন্তা করে দেখুন হতে পারে।কারণ সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, তার ক্ষমতা অনেক।পৃথিবী বহুবার এলিয়েনরা এসেছে।সে সম্পর্কে গত

পর্বেও আলোচনা করা হয়েছে।আগামীতেও আশা করি হবে।এরকম গণহারে পিকনিকে আসা এলিয়েন মামাদের

একজনকেও কি মানুষের পক্ষে আটকে রাখা সম্ভব না?অবশ্যই সম্ভব।আমাদের পৃথিবীর কেউ বা কোন দেশ আটকে রেখেছে তাদের কাউকে। হয়তোবা সেই আটকানোর স্থানটি বারমুডা।কিন্তু প্রশ্ন জাগে তাহলে জাহাজ, বিমান কেন গায়েব হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল থেকে।একটাই উওর আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য।

বারমুডা সম্পর্কে রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে আরও যে একটি কারণ ধারণা করা হয় তা হল:
“অতি শক্তিশালী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড”

প্রশ্ন হচ্ছে Electromagnetic Field কি বস্তু?

এটার বাংলা হচ্ছে বৈদ্যুতিক চৌম্বকীয় ক্ষেএ।সাধারণ বিদ্যুৎ ক্ষেএ বলতে চারপাশে সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেএ কে এই নামে অবহিত করা হয়। অধিক সক্রিয় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড এর বস্তুকে আকর্ষণ অস্বাভাবিক ক্ষমতা আছে। বা বৃহৎ পরিসরে এই ফিল্ড সৃষ্টি করলে বিকল হয়ে ইলেক্ট্রনিকস ইকুইপমেন্ট, বন বন করে ঘুরতে থাকা কম্পাসের কাটা, রেডিও ট্রান্সমিশন সিস্টেম বিকল হয়ে যায়। কিছু কি মনে পড়ছে?

বারমুডা করাল গ্রাস থেকে ফিরে আসা জাহাজগুলোর নাবিক ও ক্যাপ্টেনরা কিন্তু তাদের বর্ণনায় এগুলোই বলেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করে নিচ্ছি যে, বারমুডায় জাহাজ, বিমান হারিয়ে যাওয়ার পেছনে আছে এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড।বারমুডা ঐ অঞ্চলে আছে সক্রিয় EMF।যার প্রভাবে ঝামেলা হয় বিমান ও জাহাজগুলোতে।কিন্তু তাহলেও একটি প্রশ্ন

এসে যায় যে, সবসময় সক্রিয় থাকে না EMF? যদি তা প্রাকৃতিক হয় তবে সবসময়ই সক্রিয় থাকার কথা।আরে ভাই এখানেই তো ঝামেলা।তার মানে বোঝাই যাচ্ছে এটা কৃএিম।কিন্তু ইহার প্রস্ততকারক কোন বান্দা?এর উওর জানা যায় নি এখনো। দেখা যাচ্ছে এরকমটা করার ক্ষমতা থাকতে পারে আমাদের এলিয়েন মামা দের, কিংবা আমাদের বর্তমান কোন দেশের অথবা আমাদের ভবিষ্যতের মানুষদের।ঠিকই বলছি ভবিষ্যতের মানুষদের।কেমন Time Travel এর নাম শোনেনি?কিংবা টাইম মেশিন তৈরির প্রধান Theory শ্রদ্ধেয় “আলবার্ট আইনস্টাইন” আংকেলের Unified Field Theory আরও বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ রয়েছে বারমুডার অপার সৌন্দর্যের। আরও উন্মোচন করা হবে এসব কারণের

যদি আপনাকে কেউ জিজ্ঞেস করে যে,“বলুন তো আগামী ১০বছর পর অমুক জায়গায় কি হবে?” অধিকাংশ মানুষ যা উওর দেয় তা হল,“আমি ক্যামনে জানব?আমার কাছে কি Time Machine কাছে নাকি?” :P ভালই হত যদি Time Machine থাকত!তবে যাই হোক আপনারা হয়তো ভাবছেন বারমুডার রহস্যের মাঝখানে Time Machine এর কথা তুললাম কেন!আচ্ছা এমন যদি হয় যে আমাদের পৃথিবীর কয়েকশ বছর ভবিষ্যতের

মানুষেরা এসে এসে তুলে নিয়ে আমাদের সময়ের জাহাজ,বিমান, আর মানুষ গুলোকে?

“TIME MACHINE”



টাইম ট্রাভেল,টাইম মেশিন ও টাইম ট্র্যাপ:

এই সম্পর্কে মোটামুটি সবারই ধারণা আছে।তাই বেশি জটিলতায় না গিয়ে সোজা বাংলায় বলি, Time বা সময়ের মধ্যে ঘোরাঘুরি হল Time Travel.আর আপনার এই ঘোরাঘুরিতে যে যন্ত্রখানা সাহায্য করবে তা হল Time Machine.

“আইনস্টাইন”আংকেলের সূত্রানুযায়ী “Time Travel” মূলত একটি স্থানে থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরিভ্রমণ করা।কেউ কেউ বলে থাকেন “ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্সের” সাহায্যে এটি করা সম্ভব।সেই হিসেবে ভবিষ্যতের মানুষদের আমাদের সময়ে আসার জন্য একটা ক্ষেত্র কিন্তু অবশ্যই দরকার।হতে পারে সেই ক্ষেত্রটি বারমুডা।বলা হয়ে থাকে টাইম ট্রাভেলের জন্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড জরুরি।আর বারমুডায় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের কথা তো গত পর্বেই আলোচনা করা হয়েছে।

সবগুলো যুক্তি একত্র করলে যেটা দাড়ায় সেটা হল বহু বছর ভবিষ্যৎ থেকে আমাদের পৃথিবীর মানুষেরা মাঝে মাঝেই আমাদের সময়ে চলে আসে।মাঝে মাঝে পছন্দ হলেই তুলে নিয়ে যায় এ সময়ের অনেক কিছুই।আর তাদের আসার ক্ষেত্র হল বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এবং এরকম অন্যান্য রহস্যময় জায়গাগুলো।কিছুটা হাস্যকর শোনাচ্ছে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা সম্ভব। যদি তাই হয়, তবে আকাশে প্রায়ই যে অদ্ভুত আকাশযানগুলো দেখা যায়, সেগুলো কি আমাদের ভবিষ্যতের মানুষদের?হতে পারে!!!আরে ভাই Nothing Is Impossible…..তবে শুধু তাই নয় প্রকৃতিকভাবেও নাকি “টাইম ট্র্যাপ ডোর” সৃষ্টি হয়।এমনটাই বলেন কিছু কিছু বিজ্ঞানী।আর এই সব Natural Created “টাইম ট্র্যাপ” দিয়ে আমাদের সময়ের মানুষেরা ঢুকে পড়ে অন্য সময়ে।

১৯২৯ সালে বৈজ্ঞানিক অ্যাডমিরাল রির্চাড র্বাড উড়ে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ মেরুর চুম্বক ক্ষেত্র দিয়।সেখানে শুধু মাইলের

পরে মাইল

বরফ।

কিন্তু

হঠাৎ

দেখলেন বার্ড

তার

বিমান

উড়ে যাচ্ছে সবুজ

তৃণভূমির

উপর দিয়ে।

চামড়ার পোশাক পড়া কয়েকজন আদিম মানুষও দেখলেন তিনি।তবে কি রাস্তা ভুল করলেন? না!রাডার ও অন্যান্য ডাটা বলছে তিনি ঠিক রাস্তাই আছেন। হঠাৎ করেই ভোজবাজির মত গায়েব হয়ে গেল সব।নিচে শুধু বরফ আর বরফ। বিজ্ঞানীরা বলেছেন ঠিকই বলেছেন বার্ড।ক্ষণিকের জন্য অন্য ডাইমেনশনে ঢুকে পড়েছিলেন বার্ড।

3D এর নাম তো সবাই শুনেছেন। অনেকে হয়তো জানেনও 4th Dimension [4D] নামক এক বস্তুর ধারণা দিয়ে গেছেন আইনস্টাইন।আর এই চার নম্বর ডাইমেনশন হল Time .এই টাইম ট্রাভেল, টাইম ট্র্যাপ, ইন্টার ডাইমেনশনাল ডোর, 4D সবই কিন্তু একই সূত্রে গাঁথা।

এতো গেল কাল্পনিক বা এখন পর্যন্ত অবাস্তব কারণসমূহ, যেগুলো ধারণা করা হয় বারমুডা রহস্যগুলোর কারণ হিসেবে। তাছাড়াও কিন্তু আরও বড় একটা রহস্য আছে।পৃথিবীর প্রাচীন যুগ থেকেই শক্তিশালী ধনী দেশগুলো ভয় দেখিয়ে, অত্যাচার করে স্বার্থ নেয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলোর কাছ থেকে।বিশ্বায়নের এই যুগেও প্রচলিত আছে এই নিয়ম ১ম ও ৩য় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে। হতে পারে বারমুডাও এই সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক স্বার্থের আগ্রাসনের স্বীকার।যদি তাই হয় কারা করছে এসব? পূর্ববর্তী পর্বগুলো থেকে ধারণা করুন তো কোন দেশ থাকতে পারে এ ষড়যন্ত্রে।এ সব নিয়ে বিস্তারিত হবে । সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন ……………

No comments:

Post a Comment