Wednesday, September 18, 2013

সঙ্গিনী নির্বাচনে খেয়াল রাখুন...

সঙ্গিনী নির্বাচনে খেয়াল রাখুন...

 জীবনে একদিন না একদিন নারী আসবেই, এ নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। কাউকে ভালো লাগল, আর সঙ্গে সঙ্গে প্রেমে পড়ে গেলেন কিংবা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন, এমন করাটা বোকামি। বরং সঙ্গিনী নির্বাচন করুন একটু ভেবেচিন্তে।

ভাবছেন, সঙ্গিনী নির্বাচন করবেন কীভাবে? আপনার কাজটা সহজ করে দিতে পারে এই প্রতিবেদন। সাত ধরনের নারী আছে যাদের সব সময় এড়িয়ে চলা উচিত, তা সে যত গুণেরই অধিকারী হোক না কেন।
আমার মা যা বলবে তা-ই হবে: মেয়েটি জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে মার ওপর নির্ভরশীল। ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সে তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ ধরনের মেয়ে থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
অন্যরা আমাদের চেয়ে সুখী: মেয়েটি সবসময় অন্যদের সঙ্গে তার জীবনের তুলনা করেন। অন্য বন্ধুরা অপেক্ষাকৃত ধনী, সুখী, সফল—এসব সে মেনে নিতে পারছে না। অন্যদের মতো হতে না পেরে ভেতরে ভেতরে সে পুড়ে যাচ্ছে। আর যাই হোক, এমন মেয়ে নিয়ে শান্তি পাওয়ার আশা করাটা ভুল।
সবকিছুতেই অস্পষ্টতা: কোনো কিছুই স্পষ্ট করে বলে না। সব সময় আপনাকে অনুমান-নির্ভর অবস্থায় রাখে। সে আপনাকে ভালোবাসে কিনা, সেটাও বোঝার উপায় নেই। এমনকি ‘হ্যাঁ’ বললেও আপনি দ্বিধার মাঝে থাকেন। এ ধরনের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে নিজের জীবনটাকে ‘অনিরাপদ’ অবস্থায় ফেলবেন না।
দ্য বিগ বস: সুন্দরী নারী। প্রাথমিক আচরণেও আপনার কাছে বেশ মার্জিত মনে হলো। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই টের পেলেন, সে আপনার সব কিছু ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চায়। ধরুন, আপনি কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছেন।
সে আপনার কাছে জানতে চাইবে, ওই ‘বন্ধু’কে কীভাবে চেনেন, পরিচয় হলো কীভাবে, কী কী কথা হলো—সব খুলে বলতে হবে তাকে। আপনি কীভাবে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবেন, জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, সব ঠিক করার চেষ্টা করছে মেয়েটি। প্রাথমিক পরিচয়ের পর মেয়েটির মধ্যে এমন কিছু দেখতে পেলে ভুলেও মন দেয়া-নেয়া করবেন না।
তুমি আমার মতো হবে: আপনি কী খাবেন, কোন কাপড় পরবেন, কোন ধরনের ছবি দেখবেন, গান শুনবেন—সবকিছু নির্ধারণ করে দিতে চাইছে মেয়েটি। কোনো বিষয়ে একমত না হলে মেয়েটি এমন আচরণ করল, যেন বড় কোনো অপরাধ করে ফেলেছেন আপনি। ভুল করেও এমন ‘গুণ’সম্পন্ন মেয়ের দিকে পা বাড়াবেন না।
যথার্থ জীবনসঙ্গী নির্বাচনে উপায়গুলো বাতলে দেয়া হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে।

No comments:

Post a Comment