Tuesday, September 9, 2014

Android মজা [পর্ব-৬১] :: এবার আপনার প্রিয় কন্ঠে চালু হবে আপনার Android ফোনটি ( সাথে নিরাপত্তা)

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজ কয়েকটি Apps পেলাম কাজ করে দেখি মজার তাই আপনাদের জন্য শেয়ার করা, আজকের Apps টি হল Voice Lock!

আমরা অনেকে অনেক ধরনের লক ব্যবহার করি নিরাপত্তা এর জন্য, বেশির ভাগই Patten Lock ব্যবহার করি, আজ আমি ব্যতিক্রম ১টি ভয়েস লক নিয়ে আসলাম, আপনার মুখের কথা দিয়ে আপনার প্রিয় Android ফোনটি Lock করে রাখতে পারবেন। এতে অন্য জন আর মোবাইলটি আনলক করতে পারবেনা, শুধুমাত্র আপনার নিদিষ্ট কথাটি বললেই ফোন ওপেন হবে, না হলে কিন্তু হবেন হবে না! তাহলে আর দেরি কেন মজার Apps টি এখান থেকে Click Here TO downloadকরে নিন, বাকি কাজ টুকু আপনি নিজেই বুঝবেন আর না বুঝলেই ব্যবহার না করাই ভাল!


 
ভালো লাগলে টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না, আজ এই পর্যন্ত।
আল্লাহ হাফেজ।

Monday, September 8, 2014

free daily 24 hours earn in free real and legit website for trusted bitcoin ......

ওয়েবসাইট নং 1:  [QoinPro]

এটি একটি Fre Unlimited Bitcoin Earning লাভজনক সাইট এবং অন্যান্ন সাইটের চেয়ে একটু আলাদা । এখানে রেজিশট্রেশন করার সাথে সাথে 0.00000250 BTC ফ্রি পাবেন। আসলে শুধু বিটকয়েন নয় এখানে বাড়তি আরো অনেক কিছুই পাবেন। তবে এগুলো আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের শুধু বিটকয়েন নিয়ে চিন্তা করলেই হবে।
এখানে আপনি প্রতিদিন ফ্রি ফ্রি কোন কাজ ছারাই 0.00000001 BTC পাবেন। তবে এখানে আপনার মূল কাজ হচ্ছে রেফারেল সংগ্রহ করা। আপনার রেফারেল লিঙ্কটি ফেসবুক, টুইটার বা ব্লগ এ প্রকাশ করে রেফারেল বাড়াতে পারেন। যত বেশি রেফাররেল বাড়াবেন তত বেশি আয় বাড়বে প্রতিদিন। কারণ এখানে রয়েছে ১২৫০% রেফারেল বোনাস, তাও আবার সাত লেভেল পর্যন্ত।

রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন।

নিচের মত ১টি পেজ আসবে। এখানে ইমেইল এড্রেস ও পিনকোড দিয়ে সাইন আপ করুন।
Qp 1 এবার খুব সহজে বাড়িয়ে নিন আপনার বিটকয়েন আয়ের পরিমাণ।

এরপর আপনার ইমেইল চেক করে দেখুন একটি এক্টিভেশন ইমেইল এসেছে।

Qp 2 u 500x285 এবার খুব সহজে বাড়িয়ে নিন আপনার বিটকয়েন আয়ের পরিমাণ।

সেই এক্টিভেশন লিংকে(১) ক্লিক করার পর যে পেজ আসবে তাতে আপনার এক্টিভেশন কোডটি(২) দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করুন।
তারপর আপনার ব্যালেন্স চেক করে দেখুন। আপনার রেফারেল লিঙ্কটি প্রচার করে আয় বাড়াতে থাকুন। মিনিমাম ০.০০০১৫৫০০ btc হলে কয়েনবেসে ট্রান্সফার  করতে পারবেন। তবে এখানে আপনার কাছ থেকে ০.০০০১০০০০ btc সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হবে। তাই অল্পতেই ট্রান্সফার না করে অনেক বেশি পরিমাণ btc জমা হলে ট্রান্সফার করাই ভাল। এখানে প্রতিদিন Automatic বিটকয়েন জমা হবে এবং কিছুদিন পর পর এর পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

অবিশ্বাস্য ,অলৌকিক এবং আশ্চর্য ক্ষমতা সম্পন্ন ৭ দশ জন প্রতিভাবান মানুষ – ভিডিওসহ

এয়ারটেলের টেলিফিল্ম ‘Impossible’ অনেকেই দেখেছেন । আসলেই কি সুপার হিউম্যান বলতে পৃথিবীতে কেউ আছে । উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ অবশ্যই আছে । সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত যাদের অদ্ভুদ ক্ষমতা আছে যা সাধারন মানুষের থাকার কথা নয় । এরকমই সাতজন মানুষের সম্বন্ধে আজ জানতে পারবেন যাদের অসাধারন ক্ষমতা তাদেরকে তৈরি করেছে সত্যিকারের সুপার হিউম্যান হিসেবে । প্রমান হিসেবেত ভিডিও থাকছেই ।

১ নং – Natalya Demkina
i1
রাশিয়ার Saransk শহরের এক ছোট্ট মেয়ে  Natalya DemKina । হঠাৎ একদিন মেয়েটি লক্ষ্য করে মেয়েটি মানুষের ভিতরের শরীর দেখতে পারে । ছোটবেলা থেকেই তার এই আশ্চর্য ক্ষমতার কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে । হাজার হাজার লোক তার কাছে ভিড় জমায় তাদের শরীরের ভিতরের পরীক্ষা করার জন্য কোথায় তাদের অসুস্থতা।
তার নাম হয়ে যায় ‘X-Ray Girl’ । নিউইয়র্ক এর ডাক্তার Dr Ray Hyman সিন্ধান্ত নেন যে মেয়েটিকে তার কাছে নিয়ে এসে পরীক্ষা করে দেখবে। সে ছয় জন রোগী ঠিক করে যাদের ছয় রকমের সমস্যা – একজনের ব্রেন টিউমার, একজনের হাড়ে সমস্যা, কারও এপেন্ডিসাইড সমস্যা ইত্যাদি । এদের মধ্যে একজন সুস্থ লোকও ছিলেন । ডাক্তার তাদের  হাতে একটি করে কার্ড ধরিয়ে দেন এবং মেয়েটিকে শুধুমাত্র চোখ দিয়ে তাদের শরীরের ভিতর দেখে তাদের অসুস্থার কথা লিখতে বলেন । আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সে চারজনের সম্বন্ধেই সঠিক রোগ বলতে পারেন । ডাক্তার এই সামান্য ভুলকে সাধারনভাবেই নেন, কারন অনেক পরীক্ষার পরও মেডিকেল সাইন্স সব ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারে না । আর এই মেয়েটি ইতিহাসে নাম লেখেন সুপার হিউম্যান হিসেবে।
ভিডিও দেখুন

২নং - Eskil Ronningsbakken
2
মৃত্যুই যার খেলা সেরকমই একজন মানুষ হচ্ছেন Eskil Ronningsbakken । তার আশ্চর্য ক্ষমতা হচ্ছে অসম্ভব রকম শরীরের ভারসম্য । আপনি ভাবতে পারেন সার্কাসের অনেকেই এরকম করে । তাহলে এই ছবিগুলো দেখুন আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না । প্রতিটি ছবিতেই রয়েছে মৃত্যুর হাতছানি আর অসম্ভব রকমের শরীরের ভারসম্যের কঠিন পরীক্ষা।
সে মনে করে ভয় মানুষেরই একটা অংশ । কিন্তু তার ভয়ের যে অনুভূতি তা একেবারেই হারিয়ে গেছে আর সেজন্যই সে সুপার হিউম্যান।
ভিডিও দেখুন

৩ নং - Chris Robinson
3
মানুষ কি কখনও ভবিষৎ দেখতে পারে ।  বিশ্বাস করবেন কি না জানি না , ভবিষৎ দেখতে পারে এরকমই একটি মানুষ হচ্ছে Chris Robinson । একদিন সকালে Chris Robinson এর ঘুম ভেঙ্গে যায় এক প্লেন দুর্ঘটনার সপ্ন দেখে । সাথে সাথে সেটা তার ড্রিম জানার্লে রেকর্ড করে । তখনও সে জানত না আসলে সে ভবিষ্যৎ  দেখতে পায় । কিন্তু সেই দিনই তার সপ্ন সত্যি হয় । ঠিক যেভাবে, যে স্থানে সে সপ্ন দেখেছিল সেভাবেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিশ্বাস করছেন না, ঠিক আপনারই মত অবিশ্বাস করেছিলেন  Daniel Browning Smith নামে এক ব্যক্তি সে Robinson পরীক্ষা করার জন্য এক জায়গায় নিয়ে যায় । এবং বলে আগামীকাল তাকে ছয়টি জায়গায় নেয়া হবে। সে যেন সপ্ন দেখে সেই জায়গার নাম লিখে রাখে। Robinson সপ্নে ভবিষ্যৎ দেখে ছয়টি জায়গার নাম লেখে ।  আশ্চর্য হলেও সত্যি যখন জায়গাগুলোতে যাওয়ার পর কাগজ খুলে দেখে তখন সবাই অবাক হয় । সে ছয়টি জায়গার নামই সঠিক লিখতে পেরেছে ।
ভিডিও দেখুন 

৪নং - Tibetan Monks
images
Southern Asia এর Tibet শহরে  Monks নামের এক ব্যক্তি যে মেডিটেশনের মাধম্যে আশ্চর্য রকমভাবে তার গায়ের তাপমাত্র বাড়াতে পারত । এই ধরনের মেডিটেশনের নাম “Tum mo” । এই মেডিটেশনের মূল বিষয হচ্ছে পৃথিবী থেকে অন্য জগতে চলে যাওয়া, যার জন্য শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
যখন বিজ্ঞানীরা তার এই ক্ষমতার কথা জানতে পারল তখন সিন্ধান্ত নিল যে তারা তাকে পরীক্ষা করবে।বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করল যে Monks মেডিটেশনের মাধম্যে তার শরীরের তাপমাত্রা প্রায়  8 degrees Celsius (17 °F).পর্যন্ত বাড়িয়ে ফেলেছিল।
ভিডিও দেখুন

৫নং - Dean Karnazes
download
মানুষের জীবনের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ক্লান্তি । এমন কোন মানুষ আছে যার ক্লান্তি নেই । হ্যাঁ আছে , আর তিনি হলেন – Dean Karnazes । আপনি একসাথে  কতক্ষন দৌড়াতে পারবেন ২ ঘন্টা, ৫ ঘন্টা বা ১ দিন ।কিন্তু Dean Karnazes এমন একজন মানুষ যে বিরামহীনভাবে দৌড়াতে পারে কোন প্রকার বিশ্রাম ছাড়াই । তিনি টানা ৫০ দিন ৫০ টি ম্যারাথনে অংশগ্রহন করেছেন ।ম্যারাথন সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
একজন সাধারন মানুষের শরীর শক্তি পায় গ্লুকোজ থেকে । আর গ্লুকোজ শক্তি তৈরির পাশাপাশি lactate তৈরি করে যা ক্লান্তির জন্য দায়ী । কিন্তু – Dean Karnazes এমন একজন ব্যক্তি যার শরীরে lactate তৈরি হয় না । ডাক্তারি পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত।
ভিডিও দেখুন

৬নং – ‍SM
ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি ভয়কে জয় কর। কিন্তু তা আর হচ্ছে না । জীবনের প্রতি পদে পদে নানা রকম ভয় আমাদেরকে ঘিরে রাখে । কিন্তু আপনি কি চিন্তা করতে পারেন এমন একজন মানুষের কথা যার ভয় বলতে কোন অনূভুতিই নেই । এই যেমন ধরুন – বাগানে হেটে যাচ্ছে হঠাৎ আপনার সামনে একটা বিষধর সাপ , কি ভয় পাবেন না । অবশ্যই । এর চেয়ে ভয়ানক ভয়ানক পরিস্থিতেও যিনি ভয় পান না, তার নাম হচ্ছে – SM
বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ভয় পাওয়ার  জন্য মানুষের  মস্তিকের একটি বিশেষ অংশ দায়ী । আর SM কোন এক অজানা রোগের কারনে সেই অংশটির অনুভুতি হারিয়েছেন।
ভিডিও দেখুন

৭নং - Orlando Serrell
download (1)
মানুষের স্মৃতি শক্তি কতটুকু প্রখর হতে পারে । আপনাকে যদি বলা হয় ১৯৮০ সালে কয়টা সোমবার ছিল  ? পারবেন । সাথে সাথে উত্তর দিতে পারবেন না । কিন্তু এরকম প্রশ্নে সাথে সাথেই সহজ উত্তর দিতে পারেন Orlando Serrell.
ছোটবেলায় তিনি বাস্কেট বল খেলতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। ব্যাপরটিকে সহজভাবে নিয়ে খেলা চালিয়ে যান। কিন্তু কিছু দিন পড়েই তার এই আশ্চর্য ক্ষমতার কথা বুঝতে পারেন।সে যেকোন দিনে সে কি কি করছে তার সবই মনে রাখতে পারে ।

স্মার্টফোনের তুমুল জনপ্রিয় কিছু এপস। ডাউনলোড লিঙ্কসহ।

স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই।  আমরা অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আমাদের প্রতিদিনের কাজে প্রয়োজন হয় এরকম কিছু স্মার্টফোন এপস। এই এপগুলো আপনাদের অনেক লাগবে আশা করি। যেকোন নতুন উইন্ডোজ বা এন্ড্রয়েড  ফোন ইউজারের উচিত প্রথমেই এই এপগুলো ইন্সটল করে নেওয়া। তো চলুন চট করে দেখে আসি উইন্ডোজ ফোনের জন্য সেরা কিছু এপস।

১. UC Browser


ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করার জন্য প্রথমেই আপনার মোবাইলে একটি ব্রাউজারের প্রয়োজন হয়। উইন্ডোজ ফোনে আগের থেকেই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে থাকে। কিন্তু অনেকের কাছেই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার পছন্দ না এর ধীর গতি বা সিকিউরিটি ইস্যুর জন্য। এজন্য UC Browser এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সাইজঃ ৮ মেগাবাইট
ডাউনলোড লিংক

২. Twitter

টুইটার একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। উইন্ডোজ ফোনে রয়েছে টুইটারের জন্য একটি সুন্দর এপ। এই এপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই চলার পথে টুইট করতে পারবেন।
সাইজঃ ৪ মেগাবাইট

৩. Facebook

ফেসবুকের কথা জানেনা এমন কেউ নিশ্চয়ই নেই। ফেসবুকের জন্য অন্য সব মোবাইলের মতই উইন্ডোজ ফোনে রয়েছে একটি মোবাইল এপ। এই এপটি দিয়ে আপনি ফেসবুকিং করতে পারবেন। তবে ফেসবুকের এপটি মাঝে মাঝে ল্যাগ করে। এতে অনেক বাগ রয়েছে আর আপনাকে মেসেজ এপ ডাউনলোডের জন্য জোড় করে। ফলে এতে মেসেজিং করে তেমন মজা পাবেন না।
সাইজঃ ১৩ মেগাবাইট ডাউনলোড লিংক

৪. Viber

এন্ড্রয়েড  ও উইন্ডোজ  উভয়টিতেই ফ্রী ভিওআইপি এবং ম্যাসেজিং এর সুবিধা প্রদান করে ভাইবার। মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম সাপোর্টেড এই এপ্লিকেশনটি বাংলাদেশে যথেস্ট জনপ্রিয় । যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে Viber এখন অনেক পরিচিত। এতে আপনি ভাইবার টু ভাইবার ফ্রিতে কল করতে পারবেন। এছাড়া মেসেজিং তো রয়েছেই।
সাইজঃ ২০ মেগাবাইট ডাউনলোড লিংক
এন্ড্রয়েড ডাউনলোড

৫. Whatsapp

উইন্ডোজ ফোনের জন্য কিছুদিন হলো Whatsapp এর অফিসিয়াল এপটি এসেছে। এই এপটি দিয়ে আপনি Whatsapp মেসেঞ্জারের মাধ্যমে চ্যাট করতে এবং ফ্রি কল করতে পারবেন।
সাইজঃ ১৬ মেগাবাইট ডাউনলোড লিংক

৬. Sound & Voice Recorder – ASR

ভয়েস রেকর্ড এর জন্য একটি দারুন এপস ।এটা ডাউনলোড করে রেখে দিছে পারেন।
রিকোয়ারমেন্টস:
  • Android 2.3 and up
  • File Size:7.6 MB

এন্ড্র্য়েড স্মার্টফোনের চার্জ ধরে রাখতে যেসব অ্যাপস খুবই দরকার।

স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম ব্যাটারির চার্জ। নিয়মিত একাধিক সামাজিক যোগাযোগ সাইটের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায় স্মার্টফোনে। এ নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয় ব্যবহারকারীদের। নানা ধরনের পদ্ধতি আছে চার্জ বাঁচানোর।
যেমন, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখা, সিংক্রোনাইজেশন বন্ধ রাখা, মানচিত্র, গেমস, পর্দার আলো কমিয়ে রাখা ইত্যাদি



তবে স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচিয়ে রাখতে এখন রয়েছে দারুণ কিছু অ্যাপস। নিম্নে তা দেওয়া হলঃ

1.ব্যটারি ডক্টর (Battery Saver):


বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় এমন চার্জ বাঁচানোর একটি অ্যাপ হচ্ছে ব্যাটারি ডক্টর। সাধারণত যেসব অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ রাখলে কিংবা বিভিন্ন সেটিংস-সুবিধা পরিবর্তন করলে চার্জ বাঁচানো যায়, সেগুলো নিয়েই কাজ করে ব্যটারি ডক্টর। ১৯টি ভাষায় এ অ্যাপটি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। স্মার্টফোনের পর্দার আলো কমিয়ে রাখা, গেম, ওয়াই–ফাইতে কতক্ষণ থাকলে চার্জ কতটা কমবে, ব্যাটারিতে মূল কেব্ল দিয়ে চার্জ দেওয়া হচ্ছে কি না ইত্যাদি কাজ ব্যাটারি ডক্টর করে দেয়।
সফটওয়্যর টি ডাউনলোড করুন এখান থেকে অথবা এখান থেকে
 
2.ব্যাটারি ডিফেন্ডার (Battery Saver):
অ্যাপ ইনস্টল করেই সেটি সক্রিয় (এনাবল) করে দিলেই কাজ শুরু করে ব্যাটারি ডিফেন্ডার নামের অ্যাপসটি। নোটিফিকেশন বারে কত শতাংশ চার্জ আছে, দ্রুত ওয়াই–ফাই, ডেটা, ব্লুটুথে যাওয়ার সুবিধা ইত্যাদি সহজেই পরিবর্তন এবং ব্যবহার করা যায় এ অ্যাপ দিয়ে। চার্জ বাঁচানোর জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়াইফাই বন্ধ হওয়া, ১৫-২০ সেকেন্ডে পর্দা বন্ধ হয়ে যাওয়া, জিনিয়াস সিংক্রোনাইজেশন নামের সুবিধার মাধ্যমে ১৫ মিনিট পর পর সিংক হওয়া, ঘুমানোর সময় ঠিক করে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ডেটা, ওয়াইফাই বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি কাজ করে এ অ্যাপটি। এ ছাড়া ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে এটি নিজে থেকেই ডেটা, ওয়াই–ফাই বন্ধ করে দেয়।
সফটওয়্যর টি ডাউনলোড করুন এখান থেকে অথবা এখান থেকে

3.ইস্টার অ্যাপ (Battery Saver):
চার্জ বাঁচানো এবং সে অনুযায়ী অ্যাপ ব্যবহারের দারুণ সুবিধা নিয়ে কাজ করে জুস ডিফেন্ডার। স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচানোর এ অ্যাপটি থ্রি জি/ফোর জি সংযোগ, ওয়াই–ফাইতে কীভাবে চার্জ বাঁচানো যায় সে সেবাও দেয় জুস ডিফেন্ডার। এ অ্যাপের সাহায্যে মোবাইল ডেটা, ওয়াইফাই ও সিপিইউর গতি, শিডিউল অনুযায়ী ইভেন্ট সিংক্রোনাইজেশন, নির্দিষ্ট অ্যাপের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা কিংবা চালু করা ইত্যাদি কাজ করা যায়। বিনা মূল্যে এ অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়।
 সফটওয়্যর টি ডাউনলোড করুন এখান থেকে অথবা এখান থেকে

Thursday, September 4, 2014

পৃথিবীর অদৃশ্য ছাদ !

চির-অন্ধকার মহাসমুদ্রে ভাসমান মুক্তোদানার তুল্য নয়নাভিরাম উজ্জ্বল নীল গ্রহ আমাদের এই পৃথিবী। আমাদের এই পৃথিবীতেই রয়েছে স্রষ্টার এক অনন্য কীর্তি বিষ্ময়কর জীবন। যার অনুরুপতা আমাদের এই মহাবিশ্বে বড়ই দুর্লভ। মৃত্যুময় শীতল অন্ধকারাচ্ছন্ন শুন্যতার মহাসমুদ্রে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কিঃ মিঃ তীব্র গতিবেগ নিয়ে ধাবমান এই পৃথিবীর জীবনের প্রবাহকে অটুট রাখার জন্য মহান স্রষ্টা সৃষ্টি করে রেখেছেন হাজারো বিষ্ময়কর ব্যবস্থা। এমনি একটি জীবন রক্ষাকারী সৃষ্টি উপাদান হল আমাদের বায়ুমন্ডল।

ছবি - Shutter Stock

পৃথিবীর বায়ুমন্ডল, এর জীবমন্ডলের জন্য এক বিষ্ময়কর কৃপা। বায়ুমন্ডল জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছে এক অপূর্ব মহিমায়। আসুন আমরা দেখি কিভাবে বায়ুমন্ডল এক অদৃশ্য ছাদ হয়ে আমাদেরই অজ্ঞাতে আমাদেরকে ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করে যাচ্ছে প্রতিমুহূর্তে, যার ফলশ্রুতিতে এই পৃথিবীতে জীবন বয়ে চলছে অতি স্বাচ্ছন্দে!
আপনারা জানেন প্রতি মুহূর্তে সূর্যে হাজার হাজার বিস্ফোরণ সংগঠিত হয়। এই বিস্ফোরণগুলি হয় প্রচন্ড শক্তি সম্পন্ন। এক একটি বিস্ফোরণ প্রায় এক বিলিয়ন হাইড্রোজেন বোমার শক্তিতে উৎক্ষিপ্ত হয়ে সৌর গ্যাস ও ধুলিকণাকে প্রচন্ডবেগে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়, যা অতি অল্প সময়েই সৌর করণাতে* পৌঁছে যায়¹। এই ধাবমান গ্যাস ও ধুলিকণাকে সৌর বায়ু বা Solar wind বলে।

ছবি - Shutter Stock

সৌর বায়ু প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫০০ মাইল বেগে ধাবিত হয়ে পৃথিবী এবং সূর্য দূরত্বের ৪০ গুন দুরত্বে অবস্থিত প্লুটো পর্যন্ত খুব স্বাচ্ছন্দে পৌঁছে যায়। একটি সৌর বিস্ফোরণের কমবেশি ১০ দিনের মধ্যে সৌর বায়ু পৃথিবী এলাকায় আঘাত হানে। এই সৌর বায়ু জীবদেহের জন্য অত্যান্ত ধ্বংসাত্বক। জীবদেহের সংস্পর্শে আসার আসার সাথে সাথেই এই সৌর বায়ু দেহ-কোষের অনিবার্য মৃত্যু কিংবা বিকৃতি ঘটাতে সক্ষম, যার ফলশ্রুতিতে ক্যান্সার অবশ্যম্ভাবী। এই সৌর বায়ু পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে আঘাত করে প্রচন্ড শক্তিতে; আমাদের জানার বাইরে থেকে বায়ুমন্ডল এ সৌরবায়ুকে প্রচন্ড প্রতাপে ফিরিয়ে দেয়, যারফলে অভিশপ্ত এ বায়ু জীবমন্ডলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। নিশ্চিত মৃত্যু প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ পৃথিবীর চারপাশে খেলে যায়, খেলতে থাকে! মহাকল্যানকর এ বায়ুমন্ডল আমাদের তা এতটুকুও বুঝতে দেয় না। বেঁচে থাকে জীবন!!!
আপনারা কি উল্কা পতনের দৃশ্য দেখেছেন? আহ! কতই না নানয়নাভিরাম সে দৃশ্য! রাতের আকাশে উল্কা পতনের দৃশ্য দেখে আমরা আনন্দিত হই। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এরই মাঝে লুকিয়ে আছে আমাদের জন্য এক মহা-ভয়ংকর দুঃসংবাদ! যা বিজ্ঞানকে ভাবিয়ে তুলেছে গোটা জীবমন্ডলের অস্তিত্ব সম্পর্কে!!

ছবি - Shutter Stock

মহাশুন্য হতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ লাখ উল্কপিন্ড পৃথিবী পৃষ্ঠের দিকে বিপুল গতিতে ছুটে আসে। এরা যখন পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ বলয়ে আটকে যায় তখনই তারা বায়ুমন্ডলের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। সেখানে বাতাসের কণাদের সাথে ঘর্ষনের ফলে জ্বলে উঠে উল্কাপিন্ডগুলি। বায়ুমন্ডলের গভিরতা বাড়ার সাথে সাথে এদের উপর ঘর্ষনের প্রচন্ড চাপ পড়ে এর ফলে তীব্র উত্তাপে বেশিরভাগ উল্কাপিন্ডগুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়, পৃথিবীর মাটিতে শুধু এদের ছাই-ভষ্ম গুলি পতিত হয়। এভাবেই প্রতিনিয়ত বায়ুমন্ডলের প্রতিরোধ্যতার মুখে পরাজিত হতে থাকে পৃথিবীবাসির আতংক উল্কাপিন্ডরা।

ছবি - Shutter Stock

মহাশুন্যকে যদি শুধু শুন্য ধারণা করা হয় তাহলে করা হবে এক মারাত্মক ভুল। মহাশুন্য মূলতঃ অসংখ্য শক্তিকণা বা অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার এক মহা-বিশাল সমুদ্র। আপনি যদি কখনো বায়ুমন্ডলের শক্তিশালী আবরণকে ভেদ করে কখনো বেরিয়ে যেতে পারেন, তবে সেখানে আপনার দেহের প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রতি সেকেন্ডে ৪ থেকে ৫ টি তেজকণা আঘাত হানবে। তীব্র গতিবেগ ও তেজস্ক্রিয়তার গুণে তারা দেহের কোষগুলোকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেবে। জীবদেহে এমন মহাজাগতিক রশ্মির সরাসরি আপাতন দেহকোষ-কলায় অযুথ লক্ষ ক্যান্সার কোষ তৈরী করে ফেলবে অতিঅল্প সময়েই। পৃথিবী যদি কোন কারণে এই জীবনঘাতী মহাজাগতিক রশ্মিদের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত হত, তাহলে এই পৃথিবীর জীবমন্ডল অনেক আগেই ঘুমিয়ে পড়ত চিরন্তন মৃত্যু শয্যায়।
আমরা এ পর্যায়ে মহাজাগতিক রশ্মিদের কিছু রহস্যজনক গুণাগুণের বিশ্লেষন করতে পারি। বায়ুমন্ডলের গুণাগুণ, পৃথিবীর চৌম্বক গু্ণাগুণ আর মহাজাগতিক রশ্মিদের গুণাগুণে রয়েছে এক আশ্চর্য রকমের সমন্বয়। তীব্র গতিসম্পন্ন (আলোর গতি) অতি সূক্ষ্ম এ সকল চার্জযুক্ত মহাজাগতিক কণিকাগুলো পৃথিবীর চৌম্বক শক্তির আশ্চর্য গুনণাগুণের সংগে অপূর্বভাবে সমন্বিত ও বিসংশ্লিষ্ট। পৃথিবীর চৌম্বক শক্তি মহাজাগতিক ক্ষতিকর কণিকাগুলোকে বিদ্যুত-চৌম্বকীয় প্রভাবে মানুষ ও জীবমন্ডলীর এলাকা অর্থাৎ নিরক্ষীয় অঞ্চল হতে টেনে ও ছেঁকে নিয়ে যায় মেরু অঞ্চলদ্বয়ের দিকে, যেখানে জীবন নেই। জীবনকে নিরাপদ করার জন্য মহাজাগতিক কণা আর পৃথিবীর চৌম্বকত্বের এ সমন্বয় কত বিস্ময়কর! তারপরেও যে সব শক্তি কণা ভূ-চৌম্বকত্বের প্রভাবকে অগ্রাহ্য করে ছুটে আসে পৃথিবীর দিকে, তাদের জন্যও মহান স্রষ্টার সৃষ্টিতে রয়েছে এক অদৃশ্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আপনারা জানেন আমাদের বায়ুমন্ডল স্তরে স্তরে গঠিত।

ছবি - Shutter Stock

বায়ুমন্ডলের প্রকৃতি এমন যে, তার পুরত্ব ভেদ করে কেবল কল্যাণকর রশ্মি তরঙ্গ পৃথিবী পৃষ্ঠ পর্যন্ত এসে পৌঁছাবে। জীবন রক্ষার জন্য যে রশ্মিগুলো না হলেই নয়, তাদের এ বায়বীয় আস্তরন ভেদ করতে কোন বাধা নেই, কিন্তু মানুষ ও জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর রশ্মিসমূহের কোন প্রবেশ অধিকার নেই! উদাহরণস্বরূপ, দূরবর্তী অতি বেগুনী রশ্মি (ফার আল্ট্রাভায়োলেট রে) বায়ুমন্ডলীয় F-region -এ এসে বায়ুমন্ডল কর্তৃক (ওজন গ্যাস) শোষিত হয়ে যায়। এক্স-রে E-region -এ এসে শোষিত হয় ও মহাজাগতিক রশ্মিসমূহ স্ট্রেটোস্ফিয়ারে এবং ট্রপোপজফিয়ারে এসে নিঃশেষ হয়ে যায়। কোটি কোটি মাইলের মহাযাত্রা মাত্র কয়েক মাইলের পথকে অতিক্রম করতে এসে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, নিঃশেষ হয়ে যায়।

Radiation of atmosphere

লক্ষ লক্ষ উল্কাপতন, জীবন বিঘাতী মহাগাগতিক রশ্মি, 
সৌর ঝঞ্চা আর সূর্যের অবলোহিত রশ্মির উত্তাপ থেকে জীবনকে অভিনব কৌশলে রক্ষা করে চলছে এই বায়ুমন্ডল। সৃষ্টিতে এর চাইতে সুরক্ষিত ছাদ আর নেই।
আশ্চর্য হবেন যে, প্রাণদানকারী অবলোহিত রশ্মি বা ইনফ্রারেড-রে পৃথিবীতে প্রবেশের জন্য নিরুপিত রয়েছে এক অতি শূক্ষ মাত্রা। এ প্রাণ দানকারী ইনফ্রারেড-রে নিজেও কিন্তু প্রাণ-বিঘাতী। এ সৃষ্টি ব্যবস্থায় একে অপূর্বভাবে ছেঁকে দেয়া হয়, কমিয়ে আনা হয় এক সুনির্দিষ্ট পরিমাপে। Kenth F. Weaver এর লেখা থেকে আমরা তার চিত্রটি পাই - In case of infrared, much of the radiation is blocked by water vapour in the atmosphere, but significant wavelengths in infrared still get through.² জীবনের জন্য যেটুকু প্রয়োজন, কেবল ততটুকু ইনফ্রারেড-রে বায়ুমন্ডলীয় ছাঁকুনি পেরিয়ে আমাদেরকে প্রতিদিন জীবন্ত করে যায়। এ ব্যাবস্থাটি না থাকলে পৃথিবীর জীবমন্ডল সূর্যের অত্যান্ত লয়কারক (lethal) রশ্মির উত্তাপে পুড়ে ছাই হয়ে যেত। আবার যেটুকু রশ্মি আমরা আজ পেয়ে থাকি সেটুকু কমতি হলে জীবন মৃত্যু-শীতলতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকত আস্তে আস্তে, নিরক্ষঈয় অঞ্চল ছাড়া সর্বত্র পানি জমাট বেঁধে বরফ হয়ে যেত; পৃথিবী এমন এক নতুন চেহারা পেত যার সাথে আমরা পরিচিত নই; যার কথা আমরা ভাবতেও পারি না।

ছবি - Shutter Stock

দিনের বেলা সূর্যতাপ যে উত্তাপের সঞ্চয় করে পৃথিবীর কোন পৃষ্ঠ রাতের বেলা তা যদি সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলে, তবে সেই পৃষ্ঠটি অতিদ্রুত বরফ জমার তাপাঙ্কে পৌঁছে যাবে। এ ক্ষতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরী না হয় সে জন্য বায়ুমন্ডলকে পালন করতে হয় এক অনন্য সাধারণ ভূমিকা। পৃথিবী হতে বিকরিত তাপমাত্রার ২০% বায়ুমন্ডল ধরে রাখে, আর এ উত্তাপ আমাদের জানার ও বুঝবার অজ্ঞাতে জীবনকে বাঁচিয়ে রাখে। সোলার ঊইন্ড, উল্কা পতন, সৌর ও মহাজাগতিক ক্ষতিকর রশ্মি, মানুষ সৃষ্ট পরিবেশ দূষণের চাপ ইত্যাদি সবই বায়ুমন্ডলকে একা বইতে হয়। বিজ্ঞান আমাদেরকে আরও জানতে সাহায্য করেছে যে, বায়ুমন্ডল পৃথিবীবাসির জন্য ক্ষতিকর রশ্মি, সৌর-বায়ু কিংবা উল্কা পতন রোধ অথবা জীবনী শক্তি ইনফ্রারেড-রে, দৃশ্য আলো, বেতার তরংগ, ও নিকটবর্তী অতিবেগুনী আলোর অনুমোদন ইত্যাদি কাজ ছাড়াও জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পালন করছে আরও অনেক প্রতিরক্ষা দায়িত্ব। এই মহা-ব্যবস্থার মাঝেই রচিত হয়েছে জীবন রক্ষার এক নিগূঢ় রহস্য।
বায়ুমন্ডলের অপ্রতিরোধ্য নিরাপদ রক্ষাবর্মের আচ্ছাদনের আশ্রয়ে বসবাসকারী পৃথিবীর জীবমন্ডলের সকল প্রাণ, তাদের উপরে ঘটে যাওয়া হাজার হাজার ঝড় ও প্রলয়ঙ্কর মৃত্যর প্রসারিত থাবা থেকে বেখবরই থেকে যায়। এভাবেই বায়ুমন্ডলের অদৃশ্য ছাদের নিচে নিশ্চিন্তে প্রবাহিত হচ্ছে জীবন।
সৌর 'করোনা' হল সূর্যের প্রান্তসীমার পর প্রসারিত বিশাল শূন্য, প্লুটো কিংবা তারও পরে যার বিস্তৃতি।
আমি লেখালেখি করতে পারি না, তবে লেখালেখিতে আমার আগ্রহ আছে। আর এটি হল আমার প্রচেষ্টার শুরু। আমার পড়া বিভিন্ন বই এবং ইন্টারনেট হতে আমি এই লেখাটি তৈরি করেছি। অনেক অনেক লাইন প্রায় হুবহু তুলে দিয়েছি, আশা করি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আশা করছি পরবর্তী লেখা গুলো নিজের মত করেই সাজিয়ে লিখতে পারবো।

Friday, August 22, 2014

দেখে নিন আপনার ফেসবুক ব্যাবহার এর গড় সময় ।

এবার কাজের কথায় আশা যাক, আমরা অনেকে দীর্ঘ সময় ফেসবুক এ থাকি । আপনি এই অ্যাপসটির মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার ডেইলি,সাপ্তাহিক এবং মাসিক ফেসবুক ব্যাবহারের গড় সময় ।
১। আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন করে নিন
২। এই লিঙ্ক ক্লিক করু ৩। Next এ ক্লিক করুন
fb-1-Small
৪। তারপর পছন্দ মত যে কোন একটি অপশন সিলেক্ট করুন peer day or peer week or peer month.
fb-02-Medium
৫। Start ক্লিক করুন ,তারপর দেখুন আপনার ফেসবুক এর গড় সময় ।
চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন ১৭ মিনিট, ওটা আমার ফেসবুক গড় সময় ,আমি প্রতিদিন গড়ে ১৭ মিনিট ফেসবুক ব্যাবহার করি ।

আপনার সদ্য ব্যবহৃত সেলফোনটি বিক্রি করার আগে সতর্কতার সাথে যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন .............................

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আপনি কি চাইছেন আপনার পুরোনো হ্যান্ডসেটটি বিক্রি করে দিয়ে নতুন একটি সেলফোন কিনতে? তবে আপনার সদ্য ব্যবহৃত সেলফোনটি বিক্রি করার আগে সতর্কতার সাথে যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন :
  
 ১. ফোন সেটে থাকা সব নম্বর কপি করে নিন :
অনেক সময় সিমে সেভ করার জায়গা শেষ হয়ে গেলে নম্বরগুলো হ্যান্ডসেটে সেভ হয়ে যায়। আপনি যদি আপনার হ্যান্ডসেটটি বিক্রি করে দিতে চান তাহলে অবশ্যই বিক্রির আগে ফোনের সব নম্বর হয় আপনার ল্যাপটপে নতুবা সিমকার্ডে সেভ করে নিন অথবা নতুন ফোনসেটে সেভ করে নিন। এতে করে আপনার কাছ থেকে কোনো নম্বর হারিয়ে যাবে না। আর বিক্রির আগে হ্যান্ডসেটে থাকা সব নম্বর ডিলিট করে দিন।

২. ব্যাটারি ফুলচার্জ করুন :
আপনি আপনার সেটটি যেখানে বিক্রি করতে যাচ্ছেন সেখানে সেটটি দেয়ার আগে ফোনটির ব্যাটারি ফুলচার্জ করে নিন। এতে করে কোনো ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যা থেকে আপনার ফোনটি দূরে থাকবে।  

৩. ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করুন :
আপনার হ্যান্ডসেটটিতে অনেক ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও থাকতে পারে। এগুলো যেন আপনার সেটের সাথে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির হাতে না যায় সেজন্য বিক্রির আগে অবশ্যই এগুলো ডিলিট করুন বা প্রয়োজনে ল্যাপটপে সেভ করে তারপরে ডিলিট করুন। এতে করে কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না।

  ৪. মেসেজ ডিলিট করুন :
ছবি এবং ভিডিওর মত আপনার কিছু ব্যক্তিগত মেসেজ থাকতে পারে। আপনার নিজের সেফটির জন্য হ্যান্ডসেটটি বিক্রির আগে আপনি এগুলো অবশ্যই ডিলিট করে নিন। এতে করে আপনার ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ই কোনো তৃতীয় পক্ষ জানতে পারবে না।


  ৫. রিস্টোর ফ্যাক্টরি সেটিং সেট আপ দিতে পারেন :
আপনি আপনার সেলফোনটি বিক্রির আগে ফ্যাক্টরি সেটিংসে রিস্টোর সেটআপ দিতে পারেন। এতে করে আপনার কোনো ধরনের তথ্য নতুন ব্যবহারকারী পাবে না, পাশাপাশি সেটটি একেবারে নতুনের মত ব্যবহার করতে পারবেন।

Thursday, August 21, 2014

কী হবে পৃথিবীর ঘূর্ণন থেমে গেলে ।

মোটেও ভুলে গেলে চলবে না, পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রের সবকিছুই তাদের আবর্তনের উপর নির্ভর করে। এটা স্বস্তির যে, আমাদের প্রিয় এই গ্রহ এখনও ঘুরছে। কিন্তু কী ঘটবে যদি হঠাৎ এই ঘূর্ণন থেমে যায়?
এক কথায় যদি বলা হয়, পৃথিবী হ‍ুট করে তার ঘোরা বন্ধ করে দিলে 


সাথে সাথে ধেয়ে আসবে মহাদূর্ঘটনার স্রোত!

বিস্তারিত দেখতে হলে শুনে দেখতে পারেন মাইকেল স্টিভেনস এর ‘ভিসস’ নামের নতুন ইউটিউব সিরিজ।
স্টিভ বলছে, ‘প্রথমেই, ‍আপনারা সবাই সথূল হয়ে উঠবেন। পৃথিবীর আবর্তন গ্রাভিটির প্রভাবের উপর ভারসাম্য তৈরি করে। কিন্তু এটা হতে পারে আপনার চিন্তার কারণ।
কারণ হঠাৎ করে আপনি পরমাণু বিষ্ফোরণের ঝড়ের মুখে পড়বেন এবং সেটা সুনামি কিলোমিটার উচ্চতায়। মূহুর্তের মধ্যেই আপনার শরীর শব্দের চেয়ে দ্রুত গতির টাম্বলউইড-এ পরিণত হবে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হবে বিষুবরেখার কাছে, যেখানে পৃথিবীর উপরি অংশ সবচেয়ে দ্রুত ঘোরে। যদি পৃথিবী ঘূর্ণন থামিয়ে দেয়, গোটা গ্রহ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঘুরতে থাকবে !

চল্লিশোর্ধ পুরুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা বেশি ।

বয়স বাড়লে কমে সন্তান উত্পাদন ক্ষমতা- এই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করল ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষনা। গবেষনায় দেখা গেছে, কম বয়সীদের চেয়ে চল্লিশোর্ধদের শুক্রানু থেকে সন্তান উত্পাদনের সম্ভাবনা অনেক বেশি। অর্থাৎ, মধ্যবয়সী পুরুষের শুক্রানুই নারীদের গর্ভ সঞ্চারে অধিক কার্যকর।
ইউকে’র নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছিল শুক্রাণুদাতার বয়স হতে হবে চল্লিশের নিচে। কিন্তু, সমীক্ষা বলছে চল্লিশোর্ধ দাতারাই বেশি সক্ষম। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ৪০ হাজার ৪০০টি ইউভিএফ চিকিত্সা পদ্ধতির ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, ২০ বছরের কম বয়সী শুক্রাণুদাতাদের থেকে ইউভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ যেখানে সম্ভব হয়েছে ২৮.৩ শতাংশ, সেখানে ৪১ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক দাতাদের শুক্রাণু থেকে ইউভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ সফল হয়েছে ৩০.৪ শতাংশ।
নিউক্যাসল ফার্টিলিটি সেন্টার অ্যাট লাইফের চিকিত্সক মীনাক্ষি চৌধুরী জানালেন, “বয়সের সঙ্গে শুক্রাণুর ক্ষমতা কমার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নির্ভর করে শুক্রাণুর মানের ওপর।